কমলগঞ্জে নিখোঁজ ইকবালের দি খন্ডিত মরদেহ রেললাইন থেকে উদ্ধার। জনমনে রহস্য।

0
178

মৌলভীবাজারের কমলগঞ্জ উপজেলার গোপাল নগর রেলওয়ে ক্রিসিং সংলগ্ন থেকে মো: ইকবাল মিয়া (৩০) নামের এক যুবকের মরদেহ উদ্ধার করেছে শ্রীমঙ্গল রেলওয়ে থানা পুলিশ। রবিবার ২৭ এপ্রিল সকাল ৮ ঘটিকায় কমলগঞ্জ উপজেলা  রেলগেটের পাশে এই যুবকের দ্বিখন্ডিত মোরদহ পাওয়া যায়। 

নিহত ইকবাল  উপজেলার রহিমপুর ইউনিয়নের বড়চেগ গ্রামের মো: ইলিয়াস মিয়া ছেলে। নিহত ইলিয়াস ৬ মাস আগে কমলগঞ্জ সদর ইউনিয়নের ভেড়াচড়া গ্রামের মোহাম্মদ জোনাব আলীর মেয়েকে বিয়ে করেন।

নিহত মো: ইকবালের স্ত্রী রিমা আক্তার (২৫)  জানান শুক্রবার সকালে আমাকে নিয়ে আমার বাবার বাড়িতে আসেন। আমার বাবার বাড়ির মসজিদে জুমার নামাজ পড়েছেন, সেদিন রাত আমার সাথে বাবার বাড়ি ছিলেন শনিবার বিকাল প্রায় ৪ ঘটিকায় তার ব্যবসা প্রতিষ্ঠান (দোকানের) উদ্দেশ্যে ভেড়াছড়া গ্রাম থেকে বেড়িয়ে যান।

এলাকাবাসীর কাছ থেকে জানা যায় নিহত ইকবাল মিয়া রাস্তায় গাড়ি না পেয়ে পায়ে হেঁটে সামনের দিকে এগিয়ে যাচ্ছিলেন। এদিকে ভেড়াচড়া মসজিদে লাগানো সিসি ক্যামেরায় দেখা যায় তিনি পায়ে হেঁটে বাজারে দিকে আসছেন।সন্ধ্যা ৬ ঘটিকায় স্ত্রী স্বামী ইকবালকে ফোনে কল দিলে রিসিভ করেননি, পরবর্তীতে ফোন বন্ধ পাওয়া যায়।

নিহতের স্ত্রীর  আরো বলেন, তিনি তিন মাসের অন্তঃসত্ত্বা তার বৈবাহিক ৬ মাস সম্পর্কের মধ্যে তাদের মধ্যে কোন দ্বন্দ্ব হয় নাই। এমনকি তার স্বামীর সাথে কারো কোন শত্রুতা রয়েছে এমন কোন গল্প করেননি। তাই আমার স্বামী আত্মহত্যা করতে পারে এটা আমি কখনোই মেনে নিতে পারি না নিশ্চয়ই কেউ না কেউ আমার স্বামীকে হত্যা করে ফেলে রেখেছে আমি এর বিচার চাই এদিকে খোঁজাখুঁজি করে না পাওয়া গেলে রাত ১১ ঘটিকায় শ্বশুর মোঃ ইলিয়াস মিয়া ও বাবা মোঃ জোনাব আলী মিলে কমলগঞ্জ থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করেন। তারপর সকালে খবর আসে,স্বামী ইকবালের মরদেহ রেললাইনে পরে আছে খবর পেয়ে সেখানে সবাই যান।

আরো জানতে ফোনে নিহত মো: ইকবালের বাবা মো: ইলিয়াস মিয়ার  সাথে আলাপকালে বলেন। আমার ছেলে ইকবাল ও তার স্ত্রীকে আমার ছোট ভাই সিএনজি দিয়ে তার শ্বশুর বাড়ি পৌছে দিয়েছে, শনিবার সকাল ১০ ঘটিকায় সে তার মায়ের সাথে বাড়ির কাজকর্ম সম্পর্কে আলাপ করে, আলাপকালে ইকবাল তার মাকে বলেছে সে এসে দোকান খোলবে, তারপর আর কোন যোগাযোগ হয়নি, সন্ধ্যা ইকবালের স্ত্রী বলেছে ইকবাল বাড়িতে আসছে কিনা , তারপর সবাই ইকবালের ফোনে কল দিয়ে বন্ধ পেলে কমলগঞ্জ থানায় জিডি করা হয়।

সকালে আমরা তার মরদেহের খবর পাই। এই ঘটনার খবর পেয়ে কমলগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মাখন চন্দ্র সূত্রধর ঘটনার স্থান পরিদর্শন করেন। 

শ্রীমঙ্গল রেলওয়ে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মওদুদ হাওলাদার বলেন, আমরা রেললাইন থেকে হাত-পা কাটা, শরীর বিচ্ছিন্ন অবস্থায় লাশ উদ্ধার করেছি।

নিহত ইকবালের মৃত্যুর সত্যতা নিশ্চিত করে কমলগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ জানান হত্যা নাকি আত্নহত্যা ময়নাতদন্তের রিপোর্ট না আসা পযন্ত কোন কিছুর সঠিকভাবে বলা যাচ্ছে না। 

আপনার মতামত দিন